কোন কাজকেই ছোট ভাবে দেখা উচিত নয়

কৃষ্ণাঙ্গ একটি মেয়ে ছোট একটি চাকরির আশায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ঘুরতে থাকে ,প্রায় সকল রেস্টুরেন্ট মালিকের একই কথা আমাদের এখানে কোন লোকের প্রয়োজন নেই তুমি বরং অন্য কোথাও খুঁজে দেখো, কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েটি হতাশ হয়ে অন্য রেস্টুরেন্টে যায় এইভাবে একদিন চাকরি পেল.


 প্রথম দিনই সেই রেস্টুরেন্ট মালিকের কড়া নির্দেশ কখনো দেরিতে আসা যাবেনা তাহলে চাকরি বাতিল হয়ে যাবে সবকিছু মাথায় রেখেই মেয়েটি সেই রেস্টুরেন্টে কাজ করতে শুরু করলো খাবারের অর্ডার নিচ্ছে তারপর খাবার পৌঁছে দিচ্ছে টেবিলে টেবিলে খাবার শেষ হওয়ার পর টেবিল পরিষ্কার করে দিচ্ছি কাজের কিছু অদক্ষতাই প্রায় প্রতিদিন রেস্টুরেন্ট মালিকের বোকা খাচ্ছে মেয়েটি বেশ হাসিমুখেই সবকিছু সহ্য করে যাচ্ছে ,

হয়তো কোন কাস্টমারের সামনেথেকে কফির মগ নিতে গিয়ে গায়ে একটু কফি ফেলে দিচ্ছি কাস্টমার প্রচন্ড রেগে গিয়ে নালিশ করেছে রেস্টুরেন্ট মালিকের কাছে মেয়েটি হয়তো কাঁদো কাঁদো গলায় সরি বলে কোন ভাবে পার পেয়ে গেছে গায়ের রং কালো বলে সম্ভবত রেস্টুরেন্ট কর্মরত ছেলেরা তাকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি ,

একদিন সহকর্মীর জন্মদিনে মেয়েটি তার বাসায় গেল কেক কাটার পর যে খাবার দেয়া হলো সহকর্মী লক্ষ্য করে দেখল কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েটি সেই গুলো একদমই খেতে পারছে না অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো খাবারে কোন সমস্যা আছে কিনা কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েটি জবাব দিল না সেই জন্য খেতে পারছি না কোনদিন হয়তো রেস্টুরেন্টের অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে কম দামি গাড়িতে কোথাও ঘুরতেও গিয়েছিল মেয়েটি সেদিন হয়তো কম দামি গাড়িতে চড়তে বেশ কষ্ট হয়েছে তার কিন্তু মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলেনি সবকিছু চেপে গিয়েছে আর ভেবে নিয়েছে আমি দেশের অন্য মানুষের মতই একজন মানুষ ,

তারা পারলে আমি পারব না কেন দিন হয়তো এভাবেই অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছিল একদিন মেয়েটির কোন এক সহকর্মী লক্ষ্য করলো মেয়েটি কাজ শেষে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার পর ছয়জন দীর্ঘদেহী মানুষ তাকে ঘিরে রেখেছে রেস্টুরেন্টের শুরু হয় গুঞ্জন কানাকানি এবং নানা আলোচনা-সমালোচনা এইভাবে ঘটনাটি সাংবাদিকদের পর্যন্ত পৌঁছে যায় বেরিয়ে আসে রেস্টুরেন্টে কাজ করা সেই মেয়েটি মেয়েটির সত্যিকার এর পরিচয় মেয়েটি আর কেউ নয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কনিষ্ঠ কন্যা তারপর সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে সংবাদমাধ্যমের আদতে সারাবিশ্ব জেনে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমার ছোট্ট মেয়ে সাশা ওবামা গোপন করে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করছেন গ্রীষ্মকালীন ছুটির ফাঁকে ম্যাসাচুসেটসের মার্থাস ওয়ার্ড নামের একটি দ্বীপে অবস্থিত সেই রেস্টুরেন্ট কাজ নিয়েছিলেন তিনি অনেকদিন যাবতসহকর্মীরাও নাকি সাচার তাকে চিনতে পারেনি .

পরে রেস্টুরেন্ট ঘিরে সার্বক্ষণিক 6 জন গোয়েন্দা বা দেহরক্ষীর অবস্থান বিষয়টিকে সুস্পষ্ট করে তোলেন সেই সময়ে এই বিষয়ে বারাক ওবামার পত্নী মিশেল ওবামা বলেছিলেন সন্তানদের একটা বয়সের পর রাজকীয় বিলাসিতা ত্যাগ করতে বাধ্য করেছি কারণ তাদের সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে অন্য দশটা সাধারণ মানুষের মতই তাদের বাঁচতে শিখতে হবে একজন প্রেসিডেন্টের কন্যা হওয়া সত্ত্বেও সাশা অবামা নিতান্তই রেস্তোরাঁয় কাজ করতে লজ্জা বোধ করেনি অথচ আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও যেমন তেমন কাজ করতে লজ্জাবোধ করি কাজ করলে কখনোই আত্মমর্যাদা কমে না বৃদ্ধি পায়

SHARE

Milan Tomic

Hi. I’m Designer of Blog Magic. I’m CEO/Founder of ThemeXpose. I’m Creative Art Director, Web Designer, UI/UX Designer, Interaction Designer, Industrial Designer, Web Developer, Business Enthusiast, StartUp Enthusiast, Speaker, Writer and Photographer. Inspired to make things looks better.

  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment